kawsar

Sunday, October 07, 2012

থ্রিজির প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গেও ফ্লোর প্রাইস দেড়শ' কোটি টাকা

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক
থ্রিজির তরঙ্গের নিলামে প্রতি মেগাহার্টজের ফ্লোর প্রাইস ধরা হচ্ছে দেড়শ' কোটি টাকার সমপরিমাণ ডলার (প্রায় ১.৮ কোটি মার্কিন ডলার)। এর আগে খসড়া নীতিমালায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গেও ফ্লোরপ্রাইস ৩ কোটি ডলার ধরার প্রস্তাব করেছিল।
সমপ্রতি থ্রিজি নীতিমালা চূড়ান্তকরণের কাজ শুরু করেছে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। এ মাসেই এটি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ সচিব সুনীল কান্তি বোস, যিনি আবার খুব তাড়াতাড়িই বিটিআরসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, এ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বিটিআরসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেবেন তিনি। তার আগে থ্রিজির নীতিমালা চূড়ান্তকরণের প্রক্রিয়া শুরু করে দেবেন তিনি। এ জন্য আগামী ৭ অক্টোবর বিটিআরসির সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। খসড়া নীতিমালা তৈরি করতে গিয়ে এর যেসব বিষয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে তা নিয়ে বিটিআরসির সঙ্গে আলোচনা করতে চায় মন্ত্রণালয়। বর্তমানে এ বিষয়ে মোবাইল ফোন অপারেটরদের দেয়া প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করছে মন্ত্রণালয়ের তিন কর্মকর্তা। সব প্রক্রিয়া শেষ করে অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহেই তা অর্থমন্ত্রণালয়ে পাঠান হবে।
এর আগে গত ২৮ মার্চ বিটিআরসি থ্রিজি নীতিমালার একটি খসড়া তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। খসড়া ওই নীতিমালায় বিটিআরসি টেলিটকসহ পাঁচটি অপারেটরকে থ্রিজি সেবা দেয়ার কথা বলে। এর মধ্যে আবার একটি নতুন অপারেটর রাখতে বলা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে এখানে খানিকটা ভিন্নমত করছে মন্ত্রণালয়। তারা বলছেন, একটি নতুন অপারেটর আসতে পারে। কিন্তু নতুন অপারেটরের জন্য একটি জায়গা রেখে দেয়া হবে এমনটি করা ঠিক হবে না। যদি নতুন অপারেটরের চেয়ে বিদ্যমানদের মধ্য থেকে নিলামে বেশি টাকা আসে সেটিই বরং বেশি ভালো হতে পারে। সে কারণে এই জায়গায় খানিকটা শীথিলতা আনতে চায় মন্ত্রণালয়।
যে সব কর্মকর্তারা থ্রিজির নীতিমালা নিয়ে কাজ করছে তাদের একজন জানিয়েছেন, টুজির লাইসেন্স নবায়নের তরঙ্গের মূল্য যেহেতু দেড়শ' কোটি টাকা ধরা হয়েছিল থ্রিজির নিলামের ফ্লোর প্রাইসেও সেটি রাখা যায়। ওই কর্মকর্তা বলেন, বেশি টাকা আনতে গিয়ে আবার যাতে উল্টো সরকারের টাকা পাওয়ার পথ বন্ধ না হয়ে যায় সেদিকেও তাদের খেয়াল রাখতে হচ্ছে।
আবার খসড়া নীতিমালায় প্রতি অপারেটরের জন্য দশ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্দ রাখতে বলা হয়েছে। তবে মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। তারা শেষ পর্যন্ত এই প্রস্তাব গ্রহণ করবে নাকি মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর বিকল্প প্রস্তাব গ্রহণ করবে সেই সিদ্ধান্ত নিতে আরও কিছুদিন লাগতে পারে বলে জানা গেছে।
বিনিয়োগের অর্থ সব ডলারে আনতে হবে। খসড়া নীতিমালায় এমন শর্ত দেয়া আছে। কিন্তু মন্ত্রণালয় মনে করে থ্রিজির নিয়োগের পুরো অর্থ ডলারে আনতে বলা যুক্তিযুক্ত নয়। সেক্ষেত্রে কেবল তরঙ্গ কেনা এবং লাইসেন্স ফির অর্থই ডলারে (সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ) হিসেবে আনাতে বলা যেতে পারে। তবে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের পর্যালোচনার পরেও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে অর্থ মন্ত্রণালয় এমনকি সরকার প্রধানের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। সেক্ষেত্রে আরও কিছু পরিবর্তন হতে পারে। তাছাড়া মোবাইল ফোন অপারেটর এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গেও বৈঠক করবে মন্ত্রণালয়। ফলে সংযোজন-বিয়োজনের সুযোগ থাকছেই।

0 Comments:

Post a Comment

<< Home